সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্বপ্নচারিতা ভুলিনি তোমায়

স্বপ্নচারিতা ভুলিনি তোমায়



বাইরে ঝমঝম বৃষ্টি হচ্ছে। রিমঝিম বৃষ্টির টাপুরটুর শব্দে খুব মনে পড়ছে তোমাকে , আর সেই কথাগুলো। এমন বৃষ্টির কতগুলো দিনে মধুময়তায় অবিচ্ছেদ ছিলাম মনে পড়ে ? পরশে পরশে গভীরতম হৃদয় আরও পরিতৃপ্ত হয়ে উঠত তোমার ছোঁয়ায়। কত জলকেলি করতাম, কত্তবার এই বুকে মাথাগুজে আদর করতে, নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম তোমার পানে। ছোট্ট কয়েকটা চুম্বন করে বলতে -" এরকম করলে কিন্তু আমি চলে যাব না ফেরার দেশে,, দেখব তুমি তখন কেমন করে থাকো, কাকেই বা দেখ। " প্রতি উত্তরে  বলেছিলাম বিয়ে করবে আমায়। বলেছিলে আমিতো তোমার বউয়ের মত,বউকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে প্রথম শুনলাম। বলেই অট্টহাসিতে ফেটে পরলে তুমি । বলেছিলাম বউতো নও, চলোনা কাজটা সেড়েই রাখি। কি মনে করে যে তুমি চলেগেলে আর কখনও ফেরোনি। সে কথাগুলো এখন হয়ত তোমার মনেই পড়েনা, কেনই বা পড়বে তুমিতো লাবণ্য, সুবিশালতা তোমার কাছে এখন উদাসীনতা। জানি   তোমার চোখে আমার প্রতিবিম্ব গঠিত করার মানসিকতা বর্জিত তুমি।আমিতো সাধারণ ছিলাম ;তোমার কাছে একদম সস্তা। আমিযে বালির প্রসাদের স্বপ্নে বিভোর ছিলাম বুঝে উঠতে অনেক সময় লেগেছে।বড্ড দেরিকরে ফেলেছি রত্ন চিনতে কারণ তোমাকে কখনই তাম্রময় ভাবিনী একটিবারও বলিনি কষ্টিপাথর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।সংশয় ছিল পাহাড় সমান তোমার অশান্ত মনের প্রতি, সেটাই যে এত সাজসজ্জা নিয়ে পরিতৃপ্তি পাবে একবারও বলোনি। আজ তুমি পরিতৃপ্ত আমারি মত অন্য এক ফটোগ্রাফারের ছোঁয়ায়।   এখন ছবি আঁকতেই ভয় পাই, আমিতো নিঃস্ব ফটোগ্রাফার। রং তুলি নিয়ে খেলতে আর ভালো লাগেনা, ব্যাকগ্রাউন্ড ঘন কালো রং এ ছেয়ে গেছে। সবুজ হবার সম্ভাবনাময় মুহূর্তগুলো আর উকি মারেনা। চারিদিক কেন জানি বিষাদী বাতাস, এই তুমি এলে নাকি!!!!! বৃষ্টিজল নৃত্য করছে তোমার আগমনে । না এতো তুমি নও, আমার তুমি! আমারই যদি হতে তবে একবারও তো আমায় ছোওনি, অবহেলার ছলেও না। আমি উন্মাদিত হতাম তোমার ছোঁয়ায়,তবে আমি শান্ত কেন? উত্তর চাই আমার।অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি তোমার চলা পথের দিকে এই বুঝি এলে, কিন্তু তুমিতো এলেনা। একি আমি ঝাপসা দেখছি কেন? তবে কি চোখও বিদ্রুপ করছে আমার সাথে । আমার চশমাটা কোথায় খুজে পাচ্ছিনা কেন? অবশেষে চশমা পেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। পাশথেকে কে যেন আচমকা বলে উঠল তোমার চোখে পানি কেন? তুমি কি কাঁদছো নাকি। উত্তর দিতে পারিনি তাকে, শুধু চেয়েছিলাম তার পানে। আমিযে বাকরুদ্ধ তুমি ভালোকরেই জানো।কন্ঠস্বর শুনে মনে হলো এবুঝি তুমি। বললাম একটু পাশে বসো, তুমি একবার সেকথায় কর্ণপাত করলে না ,এসেই চললে তোমার নতুন নাবিকের পানে। ও মনেপড়েছে তুমি তো অন্যকরও প্রতীক্ষারত, একমহূর্ত্বে ভুলেই গেছিলাম যে তার সাথেই বৃষ্টিজলে পা ভিজাতে তুমি ওয়াদাবদ্ধ।এমন বৃষ্টিতে হয়ত আর ভেজা হবে দু'জনার। আজ তুমি কত  দূরত্বে, অন্যের ঘরণী হয়ে চলে গেছ।তুমি নেই কিন্তু কথাগুলো উড়ছে হাওয়ার দোলায়। এবার ২৭ শে পা দিলাম, জীবন থেকে তোমার মত করেই ২৭ টি বসন্ত হারিয়ে ফেললাম। এতে এখনও মনথেকে মুছতে পারিনি তোমায়। তবে এখন আর স্বপ্ন দেখিনা তুমি ফিরে আসবে,ভেঙ্গে গেছে তোমায় নিয়ে বেচে থাকার সপ্ন।হয়ত বুকটাকে পোড়াবে তোমায় হারানোর পরিতাপ 

রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

ধান,গম,আলু,পাট,তামাক,লবণ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত জেলা

বাংলাদেশের বিখ্যাত জেলা সমুহ

© বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয়  --------->ময়মনসিংহ জেলায়।
© গম ও তামাক সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত
হয় ------>রংপুর জেলায়।
© পাট সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়----->ফরিদপুরে
© আলু বেশি উৎপাদিত হয়…মুন্সিগঞ্জেজেলায়।
© সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয় ------> চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
© চা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়-->মৌলভিবাজারে।
© তুলা সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়------>যশোর।
© আনারস সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়---->সিলেট।
© লিচু সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়।---->দিনাজপুরে।
© আখ সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়।------>নাটোরে
© কলা সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়।----->বগুড়ায়।
© লবন সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়-->কক্সবাজারে।”

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পদার্থ বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুত্র

নিউটনের গতিসূত্র

আইজাক নিউটনের গতিসূত্রগুলো হল প্রকৃতির তিনটি নিয়ম, যা চিরায়ত বলবিদ্যার ভিত্তি স্বরূপ।এই নিয়ম গুলো বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং তার দরূন সৃস্ট গতির মধ্যে সম্পর্ক বর্ননা করে। প্রায় তিন শতাব্দির বেশি সময় ধরে এই নিয়মগুলো নানাভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। সূত্র তিনটি হল:

প্রথম সূত্র:
বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরল পথে চলতে থাকে।
সুতরাং, কোন বস্তর উপর নিট বলের পরিমাণ শূন্য হলে, বস্তর ভরকেন্দ্র হয় স্থির নয়তো সমবেগে গতিশীল থাকবে।

দ্বিতীয় সূত্র:
কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে।
সুতরাং m ভরের একটি বস্তুর উপর F বল প্রয়োগের ফলে তার ত্বরণ হয়, এই ত্বরণের মান বলের সমানুপাতিক ও ভরের ব্যস্তানুপাতিক (F = ma) এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে ত্বরণও সেই দিকে হয়।

তৃতীয় সূত্র: 
প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে৷

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


কাজ, ক্ষমতা ও শক্তি


কাজঃ 

কাজ হলো এমন একটি সম্পাদন যাতে বল প্রয়োগের ফলে কোন বস্তুর সরণ হয়। পদার্থ বিজ্ঞানে কাজের পরিমাপের একক হলো জুল। এক নিউটন পরিমাণ বল প্রয়োগে যদি এক কিলোগ্রাম বস্তুর এক মিটার সরণ হয় তবে সম্পাদিত কাজের পরিমাণ ১ জুল।

কাজের সাধারণ ধারণাঃ
দৈনন্দিন জীবনে কাজ সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা তার সাথে পদার্থবিজ্ঞানগত ধারণার বেশ পার্থক্য রয়েছে। যেমন কোন বস্তুকে দুহাতে আঁকড়ে উপরে তুলে আবার যেখান থেকে তোলা হলো সেখানে নামিয়ে রাখলে পদার্থবিজ্ঞান এর দৃষ্টিকোন থেকে কাজের পরিমাণ হবে শূন্য, অথচ নিত্যদিনকার ধারনামতে আমরা এটাকেও হয়ত কাজ বলব কারণ এর মাধ্যমে উত্তোলনকারী ক্লান্ত এবং ঘর্মাক্ত হয়ে পড়তে পারেন। পদার্থবিজ্ঞান এর ভাষায়, বল এবং বলের দিকে সরণ-এর উপাংশ-এর গুণফল হলো কাজ।

ক্ষমতাঃ 

পদার্থবিজ্ঞানের পরিভাষায় একক সময়ে সম্পাদিত কাজের পরিমাণই ক্ষমতা। এস্‌আই একক পদ্ধতির পরিমাপে ক্ষমতার একক ওয়াট। ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে (Watt)। বৈজ্ঞানিক জেমস ওয়াটের নামানুসারে ক্ষমতার একক "ওয়াট" স্থির করা হয়েছে। ১ সেকেণ্ড সময়ে ১ জুল পরিমাণ কাজ করার ক্ষমতা হলো ১ ওয়াট।[১] জেমস ওয়াট নিজে ক্ষমতার একক "অশ্ব শক্তি" স্থির করেছিলেন। ক্ষমতাকে এইভাবে হিসাব করা হয়ঃ

P = W/ t

যেখানে P হল ক্ষমতা, W হল কাজ এবং t হল সময়।

শক্তিঃ 

পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় শক্তি বলতে কাজ করার সামর্থ্যকে বুঝায়। কাজ বা কার্য হচ্ছে বল(force) ও বলাভিমুখী সরণের(displacement) গুণফল। কৃতকাজের পরিমাণ দিয়েই শক্তি পরিমাপ করা হয়। অর্থাৎ বস্তুর শক্তি হচ্ছে ঐ বস্তু মোট যতখানি কাজ করতে পারে। সুতরাং কাজের একক ও শক্তির একক অভিন্ন - জুল।
১ জুল = ১ নিউটনХ ১ মিটার। শক্তি একটি অদিক রাশি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ (Gravitation)


মহাকর্ষঃ

মহাকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা দ্বারা সকল শারীরিক সংস্থা একে অপরকে আকর্ষণ করে। মাধ্যাকর্ষণ শারীরিক বস্তুসমূহে ওজন প্রদান করে এবং পতিত হবার সময় সোজা ভূমিতে পড়ার যুক্তি সৃষ্টি করে। আধুনিক পদার্থবিদ্যায়, মহাকর্ষ সবচেয়ে সঠিকভাবে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (আইনস্টাইন দ্বারা প্রস্তাবিত) দ্বারা বর্ণনা করা হয় যা দ্বারা স্থান-কাল এর বক্রতার একটি ফল হিসাবে মহাকর্ষকে অভিহিত করা হয়।

পদার্থবিজ্ঞানে মহাবিশ্বের বস্তুসমূহের মধ্যে পারস্পারিক আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ বলা হয়। প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের একটি হল মহাকর্ষ [১]। স্যার আইজ্যাক নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এটি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত।

অভিকর্ষঃ 

অভিকর্ষ হলো পৃথিবীর মহাকর্ষ বল। পৃথিবী এবং অন্য একটি বস্তুকণার মধ্যকার আকর্ষন বলকে অভিকর্ষ বল হয়ে থাকে। এ মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাই মহাকর্ষ। দুটি বস্তুর একটি যদি পৃথিবী হয় এবং পৃথিবী যদি বস্তুটিকে আকর্ষণ করে তবে তাকে মাধ্যাকর্ষণ বা অভিকর্ষ বলে। অর্থাৎ কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণই অভিকর্ষ। গাছের ফল মাটিতে পড়ে। ক্রিকেট বলকে উপর দিকে ছুড়ে দিলে মাটিতে পড়ে। এখানে পৃথিবী যেমন ফল বা ক্রিকেট বলকে আকর্ষণ করে তেমনি এরাও পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। পৃথিবী অনেক বড় এবং এর আকর্ষণ বল অনেক বেশি হওয়ায় ফল ও ক্রিকেট বল মাটিতে পড়ে। পৃথিবী এবং অন্য যে কোনো বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে অভিকর্ষ বলে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

জুলের সূত্র (Joules Law)


১৮৪১ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী ডঃ জেমস প্রেস্কট জুল তাপ সম্পর্কিত একটি সূত্র উদ্ভাবন করেন, যা জুলের সূত্র নামে পরিচিত হয়।

যদি তাপকে H, কারেন্টকে I, রেজিস্ট্যান্সকে R এবং সময় কে t দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তবে গানিতিক ভাবে লেখা যায়ঃ
১. H α I2, যখন R এবং t ধ্রুব
২. H α R, যখন I এবং t ধ্রুব
৩. H α t, যখন I এবং R ধ্রুব

অতএব, H α I2Rt
বা           H=I2RT/J        এখনে, J = 4200 জুল/কিলো ক্যালোরি মেকানিক্যাল ইকুভেলেন্ট অফ হিট (সমানুপাতিক ধ্রুবক)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


ম্যাক্সওয়েল কর্ক-স্ক্রু রুল (Maxwell Cork Screw Rule)


বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ১৮৭৩ সালে কর্ক-স্ক্রুর সাহায্যে চুম্বক বলরেখার দিক নির্ণয়ের সূত্র বের করেন।

পরিবাহীর যেদিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয়, সে দিকে ডান হাতে কর্ক-স্ক্রুকে ঘুরালে বৃদ্ধাঙ্গুলি যেদিকে ঘুরে সেদিকে চুম্বক বলরেখার দিক নির্দেশ করবে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

ফ্লেমিং এর লেফট হ্যান্ড রুল (Fleming’s Left Hand Rule)


বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী এবং মধ্যমাকে পরস্পর সমকোণে রেখে বিস্তৃত করলে, তর্জনী চুম্বক বলরেখার দিক ও মধ্যমা কারেন্টের দিক নির্দেশ করলে, বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের ঘূর্ণন দিক নির্দেশ করবে।

এই সূত্রের সাহায্যে মোটরের ঘূর্ণন দিক বের করা যায়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


শব্দ


শব্দ হলো এক ধরনের তরঙ্গ যা পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয়। মানুষের কানে এই কম্পন ধৃত হলে শ্রুতির অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এই তরঙ্গ বায়বীয়, তরল এবং কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় বাতাসের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শব্দের গতবেগ ঘণ্টায় ৭৬৮.১ মাইল তথা প্রতি সেকেন্ড ৩৪৩.৪ মিটার। পদার্থের মধ্য দিয়ে শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হওয়ার সময় ঐ পদার্থের সকল কণা স্পন্দিত হতে থাকে। প্রতি সেকেণ্ড একবার স্পন্দনকে বলা হয় ১ হার্জ। সকল স্পন্দন মানুষের কানে ধরা পড়ে না তথা শ্রুতির অনুভূতি সৃষ্টি করে না। সাধারণভাবে মানুষের কানে ২০ থেকে ২০,০০০ হার্জ স্পন্দনের শব্দ তরঙ্গ শ্রুত হয়।;পরিবেশের জন্য স্বাস্থ্যকর শব্দের তীব্রতা- ৬০ ডেসিবল| এই পরিধির কম হলে শব্দকে হলা হয় ইনফ্রা সাউন্ড এবং এর বেশী হলে বলা হয় আল্ট্রা সাউন্ড। কোন বস্তু শব্দের চেয়ে বেশী গতিতে বাতাসের মধ্য দিয়ে ধাবিত হলে তাকে বলা হয় সুপারসোনিক।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

রেজিস্ট্যান্সের সূত্র (Resistance Law)


একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক, প্রস্থের বাস্তানুপাতিক এবং এর রেজিস্ট্যান্স পরিবাহি পদার্থের আপেক্ষিক রেজিস্ট্যান্সের উপর নির্ভর করে।

রেজিস্ট্যান্স R, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং দৈর্ঘ্য L হলে,

R α L/A

বা, R = ρL/a      এখানে, ρ= স্পেসিফিক রেজিস্ট্যান্স (সমানুপাতিক ধ্রুবক)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)


মান বিজ্ঞানী ড: জর্জ সাইমন ওহম কারেন্ট, ভোল্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করেন, এ সম্পর্কই ওহমের সূত্র (Ohm's Law) নামে পরিচিত।


কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে সুষম উষ্ণতায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহীর দুপ্রান্তের ভোল্টেজের  সমানুপাতিক।

অথবা

কোন পরিবাহির ভিতর দিয়ে স্থির তাপমাত্রায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহির দুপ্রান্তের বিভব পার্থক্যের  সমানপাতিক এবং রেজিস্ট্যান্সের বাস্তানুপাতিক।

ওহমের সূত্র মতে, কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V এবং প্রবাহিত কারেন্ট I হলে,

V α I

বা, V = IR         এখানে, R = পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স (সমানুপাতিক ধ্রুবক)

ওহমের সূত্রের সীমাবদ্ধতা:

ওহমের সূত্রকে যদিও ইলেকট্রিসিটির গুরু বলে মানা হয়, এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে

১. ওহমের সূত্র DC এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, AC এর ক্ষেত্রে নয়।
২. তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়।
৩. তাপমাত্রা স্থির থাকলেও সিলিকন কার্বাইডের ক্ষেত্রে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়।
৪. জটিল সার্কিট সমূহ ওহমের সূত্রের সাহায্যে সমাধান করা যায় না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

কুলম্বের সূত্র (Coulomb’s Law)


প্রথম সূত্র:
একই ধরণের চার্জ পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীত ধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে।

দ্বিতীয় সূত্র:
দুইটি বিন্দু চার্জের মধ্যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল চার্জ দুইটির পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যে দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।

দুটি বিন্দু চার্জের পরিমাণ যথাক্রমে Q1 ও Q2, এদের মধ্যকার দূরত্ব d হলে,

বল F α Q1Q2/d2

বা, F = k F α Q1Q2/d2                         এখানে, K = 9X109 [ধ্রুবক]

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~


কারশফের সূত্র (Kirchhoff’s Law)


কারশফের কারেন্ট সূত্র :

একটি সার্কিটের কোন বিন্দুতে মিলিত কারেন্ট সমুহের বীজগাণিতিক যোগফল সমান।

অথবা

একটি সার্কিটের কোন বিন্দুতে আগত কারেন্ট ও নির্গত কারেন্ট সমান।

কারশফের ভোল্টেজ সূত্র :

কোন বদ্ধ বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের সকল ই.এম.এফ এবং সকল ভোল্টেজ ড্রপের বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

লেন্‌জের সূত্র ( Lenz’s law) 


লেনজ এর সুত্র একটি সহজ উপায় যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে তড়িৎ চুম্বকীয় বর্তনী নিউটনের ৩য় সুত্র এবং শক্তির সংরক্ষণ সুত্র মেনে চলে । লেনজ এর সুত্র হেনরিক লেনজ এর নামানুসারে করা হয়েছে।এতে বলা হয়

একটি প্রবর্তিত তড়িচ্চালক বল সব সময় তড়িৎকে বৃদ্ধি করে যার চুম্বকীয় ক্ষেত্র প্রকৃত চুম্বক প্রবাহের বিরোধিতা করে ।

শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বিভিন্ন বিষয়ের জনক

বিভিন্ন বিষয়ের জনক নাম
-
☞ অর্থনীতির জনক কে ?
 উত্তরঃ-এডামস্মিথ
☞ আধুনিক অর্থনীতির জনক কে ?
উত্তরঃ-পল স্যামুয়েলসন
☞ আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে ?
উত্তরঃ- জন লক
☞ আধুনিক জোর্তিবিজ্ঞানের জনক কে?
উত্তরঃ-কোপার্নিকাস
☞ আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক কে ?
উত্তরঃ-সিগমুন্ড ফ্রয়েড
☞ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
উত্তরঃ- এরিস্টটল
☞ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে ?
উত্তরঃ-নিকোলো মেকিয়াভেলী
☞ ইংরেজি নাটকের জনক কে? -
উত্তরঃ- শেক্সপিয়র।
☞ ইতিহাসের জনক কে ?
উত্তরঃ- হেরোডোটাস
☞ ইন্টারনেটের জনক কে ?
উত্তরঃ ভিনটন জি কার্ফ ।
☞ WWW এর জনক কে ?
উত্তরঃ- টিম বার্নাস লি ।
☞ ই-মেইল এর জনক কে ?
উত্তরঃ রে টমলি সন।
☞ ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক কে?
উত্তরঃ এলান এমটাজ ।
☞ উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক কে ?
উত্তরঃ- থিওফ্রাস্টাস
☞ এনাটমির জনক কে?
উত্তরঃ- আঁদ্রে ভেসালিয়াস
☞ ক্যালকুলাসের জনক কে ?
উত্তরঃ- নিউটন
☞ ক্যালকুলাসের জনক কে?
উত্তরঃ- আইজ্যাক নিউটন।
☞ গণিতশাস্ত্রের জনক কে ?
উত্তরঃ- আর্কিমিডিস
☞ চিকিত্সাবিজ্ঞানের জনক কে ?
উত্তরঃ-হিপোক্রেটিস
☞ জীবাণুবিদ্যার জনক কে ?
উত্তরঃ- লুই পাস্তুর
☞ জ্যামিতির জনক কে ?
উত্তরঃ- ইউক্লিড
☞ দর্শনশাস্ত্রের জনক কে ?
উত্তরঃ- সক্রেটিস
☞ প্রাণিবিজ্ঞানের জনক কে ?
উত্তরঃ- এরিস্টটল
☞ বংশগতি বিদ্যার জনক কে?
উত্তরঃ-গ্রেগর জোহান মেন্ডেল
☞ বংশগতির জনক কে ?
উত্তরঃ- গ্রেগর মেন্ডেল
☞ বাংলা উপন্যাসের জনক কে?
উত্তরঃ-বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
☞ বাংলা কবিতার জনক কে?
উত্তরঃ-মাইকেল মধু সূদন দত্ত।
☞ বাংলা গদ্যের জনক কে?
উত্তরঃ- ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর।
☞ বাংলা নাটকের জনক কে?
উত্তরঃ-দীন বন্ধু মিত্র।
☞ বিজ্ঞানের জনক কে ?
উত্তরঃ- থেলিস
☞ বীজগণিতের জনক কে ?
উত্তরঃ- আল-খাওয়ারিজম
☞ ভূগোলের জনক কে ?
উত্তরঃ- ইরাতেস্থিনিস
☞ মনোবিজ্ঞানের জনক কে ?
উত্তরঃ- উইলহেম উন্ড
☞ রসায়নের জনক কে ?
উত্তরঃ- জাবির ইবনে হাইয়ান
☞ শারীরবিদ্যার জনক কে ?
উত্তরঃ- উইলিয়াম হার্ভে
☞ শরীর বিদ্যার জনক কে?
উত্তরঃ- উইলিয়াম হার্ভে।
☞ শ্রেণিবিদ্যার জনক কে ?
উত্তরঃ- ক্যারোলাস লিনিয়াস
☞ শ্রেণীকরণ বিদ্যার জনক কে? উত্তরঃ- ক্যারোলাস লিনিয়াস।
☞ সামাজিক বিবর্তনবাদের জনক কে? উত্তরঃ- হার্বাট স্পেন্সর।
☞ সমাজবিজ্ঞানের জনক কে ? উত্তরঃ- অগাস্ট কোৎ

মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০১৭

রোজা

সেহরি না খেয়ে কোনো কারণে রোজা রাখলে সে রোজা হবে কি না?

সেহরি ও ইফতার রোজার অন্যতম উপাদান। রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়া সুন্নাত। সেহরির অর্থ হলো, যা কিছু রাতের শেষভাগে খাওয়া হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে।’ (বুখারি শরিফ: ১৯২৩)
সেহরি না খেয়েও রোজা হবে । কেননা সেহরি খাওয়া সুন্নত, এটি রোজার অংশ নয়। সেহরি না খেলেও রোজা হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ ২/৩৭৭; ইমদাদুল ফাত্তাহ ৬৯৭) আর রমজান মাসে কোনো কারণে রাতে নিয়ত করতে না পারলে এবং সুবহে সাদিকের পর থেকে রোজা ভঙ্গের কোনো কারণ পাওয়া না গেলে দুপুরের আগ (অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের আগ) পর্যন্ত নিয়ত করার সুযোগ থাকে। তবে রাতে নিয়ত করে নেওয়াই উত্তম।
[শরহু মুখতাসারিত তহাবী ২/৪০৪; কিতাবুল আছল ২/২২৬; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১৯৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৯]
       রোজার স্বাস্থ্য উপকারিতা
অনেকের মতে রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে আমাদের অজান্তেই রোজা রাখার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের উন্নতি হয়ে থাকে। এমনকি অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্যও রোজা রাখা উপকারী। তবে রোজা রাখার কারণে যদি কোনো রোগ বৃদ্ধি পায় অথবা রোগী বেশ কষ্ট পায় তবে এ বিষয়ে মুফতিদের সাথে আলোচনা করে নেয়াই ভালো। রোগীদের সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রোজা না রাখার অনুমতি ইসলামে রয়েছে।  আসুন জেনে নিই রোজা রাখার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের কোন কোন উপকার সাধন হয়।
ধূমপানকারীদের জন্যঃ
ধূমপান করা মানেই বিষপান করা। এ কথা আধুনিক যুগে কে না জানে। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের এ আবিষ্কারের বহু আগেই ইসলাম ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিল। ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ওপর নিকোটিনের দাগ পড়তে পড়তে এক সময় ধূমপায়ী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। রমজানের রোজার ফলে ধূমপান থেকে বিরত তাকার কারণে ফুসফুস দীর্ঘসময় পর্যন্ত নিকোটিনের বিষক্রিয়া মুক্ত থাকে। ফলে ফুসফুস রোগমুক্ত থাকে এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসে। যারা ধূমপান করেন রমজানের রোজা তাদের জন্য অবশ্যই উপকারী। ধূমপান বর্জনেরও এটা উত্তম সময়।
স্থূলকায় রোগীদের জন্যঃ
অতিরিক্ত আহার বর্তমানে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। তাই ইসলামে হালকা ভোজনই কাম্য। বেশি বেশি খাদ্য গ্রহণের ফলে দেহে চর্বি জমে অনেকে বেশ স্থূল বা অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়। যা স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, বিব্রতকর ও কষ্টকর। এ চর্বি শরীরের চামড়ার নিচে কলেস্টেরল আকারে শিরা-উপশিরা-ধমনীতে এমনকি হৃৎপিণ্ডেও জমা হয়। যার ফলে শরীরে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। কিন্তু রোজা রাখার কারণে স্থূলকায় রোগীর শরীরে জমে থাকা এসব কোলেস্টেরল শরীরের কাজে ব্যয়িত হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক হয় রক্তের সার্কুলেশন। তবে এ জাতীয় রোগীরা ইফতার ও সেহরিতে ভূরিভোজন না করে অবশ্যই হালকা খাবার খেতে হবে।
আলসার বা পেটের পীড়ার রোগীদের জন্যঃ
দেখা যায়, পেপটিক আলসারের রোগীরা রোজা রাখলেই ভালো বোধ করেন। কারো কারো ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তবে তাদের জন্য রোজার বিষয়টি অনুশীলনের ওপর নির্ভর করে। আলসার বা এ জাতীয় সমস্যায় সাধারণত দৈনিক দু’বারের বেশি ওষুধ সেবন করতে হয় না। যার জন্য রোজা রাখতে কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যঃ
যেসব মানুষ ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য মুখে ওষুধ গ্রহণ করছেন, খাদ্য তালিকা মেনে চলছেন এবং ওজন কমাতে চাচ্ছেন­ তাদের জন্য রোজা খুবই উপকারী। বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে হাইপো গ্লাইসেমিয়া হয়ে না যায়। যারা দু’বেলা ইনসুলিন নিচ্ছেন তাদের জন্য তো কথাই নেই বরং যারা দু’বেলার অধিক ইনসুলিন নেয়, তাদেরও চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ডোজ অ্যাডজাস্ট করে রোজা রাখতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যঃ
হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্য রোজা উপকারী। রোজার ফলে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। তা ছাড়া রোজা রাখার কারণে স্ট্রেস হরমোন করটিসেলের নিঃসরণ কমে। এতে বিপাকক্রিয়া ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। রোজার ফলে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ে বিধায় মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়, কর্মোদ্দীপনাও বাড়ে, যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য মঙ্গলজনক। অধিকাংশ হাঁপানি রোগীর ক্ষেত্রেই রোজা উপকারী।
অ্যালার্জি, সর্দি-কাশির রোগীদের জন্যঃ
অ্যালার্জি, সর্দি-কাশির রোগীদের রোগের উসিলা দিয়ে অযথা নিজ সিদ্ধান্তে রোজা না রাখার কোনো ভিত্তি নেই। এসব রোগে ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক, এন্টিহিস্টোমিন কিংবা স্টেরয়েড স্প্রে দিনে দু’বার বা একবার খেলে বা ব্যবহার করলেই চলে। তবে খানাখাদ্যের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্যঃ
রোজার সময় যেহেতু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়, তাই কারো কারো পানি স্বল্পতা হতে পারে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য সমস্যার ব্যাপার। তারা ইফতার ও সেহরিতে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, ফলের রস, সরবত, শাকসবজি, সালাদ, ইসবগুলের ভুসি খেলে আরাম করে রোজা রাখতে সমস্যা হবে না। গরু বা খাসির গোশত, ইলিশ ও চিংড়ি মাছ এবং যেসব খাবার খেলে মল শক্ত হয়ে যায় তা না খাওয়াই ভালো।
রোজার বিষয়ে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. শেলটন বলেছেন, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা জাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর পুষ্টি বিধান হয়। এই পদ্ধতিকে ‘অ্যাস্টোলিসিস’ বলা হয়। (সুপিরিয়র নিউট্রিশন গ্রন্থ)।
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি রোজা সম্পর্কে বলেছেন, রোজা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোজা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।’
স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, সারা বছর অতিভোজ, অখাদ্য কুখাদ্য, ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যে জৈব বিষ জমা হয় তা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক মাস রোজা পালনের ফলে তা সহজেই দূরীভূত হয়ে যায়।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহঃ
১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
২. স্ত্রী সহবাস করলে ।
৩. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
৪. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
৫. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
৬. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
৭. ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
৮. কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
৯. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
১০. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
১১. দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
১২. ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
১৩. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
১৪. রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
১৫. মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
আর যদি রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে স্বামী-স্ত্রী সহবাস অথবা পানাহার করে তবে কাজা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। কাফফারার মাসআলা অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের থেকে জেনে নেবে।
রোজার মাকরুহগুলো
* অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা
* কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা
*গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে
* ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা
* গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্থর দিতে অক্ষম
* সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ
* অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা
* কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা

যেসব কারণে রোজা না রাখলেও ক্ষতি নেই:
*    কোনো অসুখের কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেললে অথবা অসুখ বৃদ্ধির ভয় হলে। তবে পরে তা কাযা করতে হবে।
*   গর্ভবতী স্ত্রী লোকের সন্তান বা নিজের প্রাণ নাশের আশঙ্কা হলে রোজা ভঙ্গ করা বৈধ তবে কাযা করে দিতে হবে।
*   যেসব স্ত্রী লোক নিজের বা অপরের সন্তানকে দুধ পান করান রোজা রাখার ফলে যদি দুধ না আসে তবে রোজা না রাখার  অনুমতি আছে কিন্তু পরে কাযা আদায় করতে হবে।
*   শরিয়তসম্মত মুসাফির অবস্থায় রোযা না রাখার অনুমতি আছে। তবে রাখাই উত্তম।
*    কেউ হত্যার হুমকি দিলে রোযা ভঙ্গের অনুমতি আছে। পরে এর কাযা করতে হবে।
*    কোনো রোগীর ক্ষুধা বা পিপাসা এমন পর্যায়ে চলে গেল এবং কোনো দ্বীনদার মুসলিম চিকিৎসকের মতে রোজা ভঙ্গ না করলে তখন মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। তবে রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব। পরে তা কাযা করতে হবে।
*   হায়েজ-নেফাসগ্রস্ত (বিশেষ সময়ে) নারীদের জন্য রোজা রাখা জায়েজ নয়। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।
রোজার নিয়তঃ
নাওয়াইতু আন আছুমাগাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নীকা আন্তাস সামিউল আলীম।
ইফতারির দোয়াঃ
আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আলা রিজক্কিকা আফতা

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

HTML বা Hyper Text Mark Up Language

  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

                  

                     চতুর্থ  অধ্যায় :  HTML














HTML কি?

HTML একটা কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ, যা পৃথিবীর বিশাল তথ্য-ভান্ডারকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। একটা ওয়েব পেজের মূল গঠন তৈরি হয় HTML দিয়ে। HTML কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়, একে Hyper Text Mark Up Language বলা হয়। Mark Up Language এক সেট Mark Up ট্যাগের সমন্বয়ে গঠিত হয়। একটা ওয়েব পেজের বিভিন্ন অংশ ব্রাউজারের মাধ্যমে কিভাবে প্রদর্শিত হবে, তা HTML এ Mark Up ট্যাগ সমূহ ব্যবহার করে প্রকাশ করা হয় ।

HTML এর ইতিহাস


HTML বা Hyper Text Mark Up Language তৈরি করেছেন টিম বার্নাস-লী। HTML তৈরির উদ্দেশ্য ছিল বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য উপাত্ত দ্রুত পৃথিবীর বিভ্ন্নি স্থানে আদান প্রদানের ব্যবস্থা করা। ১৯৯০ সালের দিকে NCSA কর্তৃক ডেভলপকৃত মোজাইক ব্রাউজারের মাধ্যমে HTML পরিচিতি লাভ করে। ১৯৯৭ এর জানুয়ারীতে WC3 কর্তৃক প্রথম ডেভলপকৃত HTML3.2 প্রকাশিত হয়। একই বছরে শেষে ডিসেম্বরে WC3 HTML এর নতুন সংস্করণ HTML4.2 প্রকাশ করে। ২০১০ সালে বর্তমানে প্রচলিত HTML এর সর্বশেষ ভার্সন HTML5 জনসম্মূখে পরিচিতি লাভ করে।

প্রোগ্রাম লেখার পদ্ধতি

যে কোন প্রোগ্রাম লেখার জন্যই কোন একটা এডিটর ব্যবহার করে কোডিং করতে হয়। HTML এ প্রোগ্রাম লেখার জন্য প্রাথমিকভাবে এডিটর হিসেবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ডিফল্ট এডিটর notepad ব্যবহার করা যেতে পারে এবং বাড়তি সুবিধা পাবার জন্য এডভান্স এডিটর হিসেবে Dreamweaver এবং Notepad++ ব্যবহার করা ভাল। HTML এ লেখা প্রোগ্রাম .html এক্সটেনশন যেমন index.html দ্বারা Save করে যেকোন ব্রাউজার যেমন Internet explorer, Mozilla Firefox , Google chrome এবং Opera দ্বারা দেখা যাবে।

ট্যাগ সমুহ ও ব্যবহার

HTML এ প্রোগ্রাম লেখার জন্য <> এবং দুইটা চিহ্ন এবং এর মধ্যে কিছু Word যেমন html, head, title, body ইত্যাদি Keyword ব্যবহার করা হয়। <> বা চিহ্ন এবং এর মাঝে লেখা একটি Keyword কে একত্রে ট্যাগ বলা হয়। যেমন এবং । হল body শুরু ট্যাগ এবং হল body শেষ ট্যাগ।

HTML এর সাধারন ট্যাগ সমূহ:-


<html> </html>
HTML ডকুমেন্ট নির্দেশ করে।
<big></big>
স্বাভাবিকের চেয়ে বড় টেক্সট নির্দেশ করে।

<head></head>
প্রোগ্রামের head অংশ নির্দেশ করে
<small></small>
স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট টেক্সট নির্দেশ করে।

<title></title>
ডকুমেন্ট টাইটেল নির্দেশ করে।
<blockquote> </blockquote>
বিশেষ উদ্ধৃতি প্রকাশ করতে ব্যবহৃত হয়।

<body></body>
প্রোগ্রামের মূল content অংশ নির্দেশ করে।
<table></table>
টেবিল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

<a></a>
Anchor ট্যাগ।
<col></col>
টেবিলের কলাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

<abbr></abbr>
Abbreviation ট্যাগ।
<br / >
একটা লাইন ব্রেক তৈরি করে ।

<b></b>
Bold টেক্সট নির্দেশ করে।
<code></code>
কম্পিউটার কোড টেক্সট প্রকাশ করে।

<i></i>
Italic টেক্সট নির্দেশ করে।
<td></td>
টেবিলের সেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

<form></form>
ফরম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
<tr></tr>
টেবিলের সারি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

<h1></h1>
হেডার ট্যাগ 1-6 পর্যন্ত হয়।
<img/>
ছবি যুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

<hr/>
সমান্তরাল রেখা তৈরি করে।
<input></input>
ফরমের ইনপুট ফিল্ড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

<li></li>
লিষ্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
<p></p>
প্যারাগ্রাফ নির্দেশ করে

<ol></ol>
অর্ডার লিষ্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
<ul></ul>
আনঅর্ডার লিষ্ট তৈরিতে:


HTML ইলিমেন্ট

HTML এ যেকোন শুরু ও শেষ ট্যাগ এবং মাঝের অংশকে ইলিমেন্ট বলা হয়। যেমন <h1> This is an example of element.</h1> । এখানে <h1> হেডার1 শুরু এবং </h1> হেডার1 শেষ ট্যাগের মাঝে This is an example of element  একটি ইলিমেন্ট। কিছু কিছু ট্যাগের কোন ইলিমেন্ট থাকে না যেমন <br /> ,<img /> ইত্যাদি।
<শরু ট্যাগ> ইলিমেন্ট কনটেন্ট</শেষ ট্যাগ>
সাধারণতঃ যে সকল ট্যাগের শেষ ট্যাগ থাকে না তাদের ইলিমেন্টও থাকে না। এ ধরণের শুরু ট্যাগের মধ্যেই / চিহ্নটি অন্তর্ভূক্ত থাকে, এবং এর আগে একটা স্পেস দিতে হয়।

HTML এট্রিবিউটস্

HTML এ এট্রিবিউটস ইলিমেন্ট এর আনুসাঙ্গিক তথ্য প্রকাশ করে । মূলত HTML এ ট্যাগের কার্যক্ষমতাকে বর্ধিত করার জন্য এট্রিবিউটস ব্যবহার করা হয়। যেমন <font size="5" face="Tahoma" color="red"> This is a paragraph.</font> এখানে size="5" অংশটি হল font ট্যাগের একটি এট্রিবিউট, যা প্রকাশ করছে ইলিমেন্ট অর্থাৎ This is a paragraph. লেখাটির সাইজ কেমন হবে। এছাড়া face="Tahoma" প্রকাশ করছে লেখাটির font হবে Tahoma এবং color="red" দ্বারা প্রকাশ করছে লেখাটির রং হবে লাল।

ট্যাগ এট্রিবিউটস্

<font>size="5" face="Tahoma" color="red"
<h1>….<h6> <p> align="center" align="left" align="right" title="Bangladesh"
<body> bgcolor="green" background="../images/ele.png"
<div> id="book" class="pen" align="center"
<img> <table> height="100px" width="50px" border="5px"
<input /> type="text" name="TextField"


উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" green">
<font size="5" face="Tahoma" color="red">
This is a paragraph.
</font>
</body>
</html>


[ Output দেখুন
একটি নোটপ্যাড open করে উপরের code টুকু লিখে file মেনু থেকে Save as এ ক্লিক করে File name: index.html  ,   Save as type : All files,  দিয়ে save করে index.html ফাইলটি Mozilla Firefox দিয়ে open করুন, আপনি preview দেখতে পারবেন।]

হেডিং ট্যাগ ও ব্যবহার

HTML এর মাধ্যমে কোন ডকুমেন্ট বা প্যারাগ্রাফের শিরোনাম লেখার জন্য হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। HTML এ মোট ছয় ধরণের হেডিং ট্যাগ রয়েছে এগুলো হল <h1> </h1> , <h2> </h2> , <h3> </h3> , <h4> </h4> , <h5> </h5> এবং <h6> </h6> । যদি বড় সাইজের অক্ষরে শিরোনাম লেখার প্রয়োজন হয় তাহলে <h1> </h1> ট্যাগের মাঝে লেখা হয়। এবং অন্যান্য গুলো ব্যবহার করলে লেখার সাইজ আস্তে আস্তে ছোট হবে।


উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html> <head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" green">
<h1>This is an example of heading 1</h1>
<h2>This is an example of heading 2</h2>
<h3>This is an example of heading 3</h3>
<h4>This is an example of heading 4</h4>
<h5>This is an example of heading 5</h5>
<h6>This is an example of heading 6</h6>
</body> </html>


HTML প্যারাগ্রাফ

যে কোন ডকুমেন্ট এক বা একাধিক প্যারাগ্রাফের মাধ্যমে লেখা হয়। HTML এ প্যারাগ্রাফ তৈরির জন্য <p> বা প্যরাগ্রাফ ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। যেমন <p>This is a paragraph.</p>। ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিটা প্যারাগ্রাফ প্রদর্শন করা হলে প্রতিটা প্যারাগ্রাফের পর একটা করে লাইন ব্রেক তৈরি হয়। যদি কখনো প্যারাগ্রাফের মধ্যেই লাইন ব্রেকের প্রয়োজন হয় তাহলে লাইনের শেষে <br /> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।


উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>  <title> www.google.com</title>  </head>
<body bgcolor=" green">
<p>This is a paragraph.</p>
</body>
</html>


টেক্সট ফরমেটিং

Microsoft Word এ Bold, Italic, Underline, strikethrough, Subscript, Superscript ইত্যাদি টেক্সট ফরমেটিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়। HTML এর ক্ষেত্রেও Microsoft Word এর মত টেক্সট ফরমেটিং এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। একটি ডকুমেন্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে টেক্সট ফরমেটিং বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞান থাকা দরকার। HTML এ টেক্সট ফরমেটিং এর জন্য <b>, <i>, <u>, <strike>, <sub>, <sup>, <big>, <small>, <strong>, <samp>, <tt>, <abbr>, <var>, <code>, <address> ইত্যাদি ট্যাগ সমূহ ব্যবহার করা হয়।


উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>  <title>www.google.com</title>  </head>
<body bgcolor="green">
<p>
<b> (Bold)</b> This is an example of bold. <br />
<i>(Italic)</i> This is an example of Italic. <br />
<u> (Underline) </u> This is an example of Underline. <br />
<strike>(Strike) </strike> This is an example of Strike. <br />
(CO<sub>2</sub>) This is an example of Subscript. <br />
(E=MC<sup>2</sup>) This is an example of Superscript. <br />
<big>(Big text)</big>This is an example of Big. <br />
<small>(Small text)</small>This is an example of Small. <br />
<strong>(Strong text)</strong>This is an example of Strong. <br />
<samp>(Sample text) </samp>This is an example of Sample. <br />
<tt>(Teletype)</tt>This is an example of Teletype. <br />
(<abbr> U.N.O</abbr> United Nations Organization.) This is an example of Abbreviation. <br />
(<var>x</var> is a variable.)This is an example of Variable <br />
(<code>Computer code text.</code>) This is an example of Code.<br /> <address>
(Written by Anonymous<br />
Address: www.examplesite.com<br />
E-mail: anonymous@mail.com)</address>This is an example of Address <br />
</p>
</body>
</html>


ফন্ট ট্যাগ এর ব্যবহার

HTML এর মাধ্যমে কোন ডকুমেন্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য <font> বা ফন্ট ট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।<font size="5" face="Tahoma" color="red"> Bangladesh is a beautiful country.</font> এখানে size="5" অংশটি হল font ট্যাগের একটি এট্রিবিউট, যা প্রকাশ করছে ইলিমেন্ট অর্থাৎ Bangladesh is a beautiful country. লেখাটির সাইজ কেমন হবে। এছাড়া face="Tahoma" প্রকাশ করছে লেখাটির font হবে Tahoma এবং color="red" দ্বারা প্রকাশ করছে লেখাটির রং হবে লাল।


উদাহরণ প্রোগ্রাম

<html>
<head>  <title> www.google.com</title> </head>
<body bgcolor=" green">
<font size="2" face="Verdana">
This is a paragraph.
</font>
<br />
<font size="5" face="Tahoma" color="red" >
Bangladesh is a beautiful country.
</font>
</body>
</html>


স্টাইলের ব্যবহার

Style, HTML এর একটি নতুন এট্রিবিউটস, এর মাধ্যমে HTML এর মধ্যেই CSS ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। Style তথা CSS ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েব পেজের বিভিন্ন উপাদানের ডিজাইন তৈরি করা হয়। অন্যান্য এট্রিবিউটস যেমন align="center", align="left", bgcolor="green", height="100px", width="50px, bgcolor="green" ইত্যাদির মাধ্যমে যদিও ডিজাইন তৈরি করা যায়, তবে এক্ষেত্রে Style ব্যবহারে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়।

উদাহরণ প্রোগ্রাম: অন্যান্য এট্রিবিউটস্ ব্যবহার করে
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" green">
<font size="2" face="Verdana">
This is a paragraph.
</font>
<br />
<font size="5" face="Tahoma" color="red" >
Bangladesh is a beautiful country.
</font>
</body>
</html>
লিংক প্রকাশের পদ্ধতি
একটা ওয়েব সাইটকে ব্যবহার বান্ধব করে তোলার ক্ষেত্রে লিংকের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Link এর আভিধানিক অর্থ সংযুক্ত করা। অর্থাৎ একটা ওয়েব পেজের সাথে অন্য একটা পেজকে যুক্ত করাই হল লিংকিং। HTML এ লিংকিং করার জন্য <a> ট্যাগ বা anchor ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। যেমন <a href="http://www. google.com/"> www. google.com </a> । অর্থাৎ যে পেজের সাথে লিংক তৈরি করতে হবে তার এড্রেস href="…………….. " এর মধ্যে লেখতে হবে, এবং লিংকে যে লেখাটি প্রদর্শন করবে তা <a href=" ">…………………..</a> এর মধ্যে লেখতে হবে।
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" green">
<a href="http://www.google.com/"> www.google.com </a> <br />
<a href="mailto:admin@google.com"> admin@google.com</a>
</body>
</html>
ইমেজ সংযোজন
একটা ওয়েব পেজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমূহের একটি হচ্ছে ইমেজ । ওয়েবপেজে ইমেজের উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে পেজটি ব্যবহারকারীদের কাছে যেমন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে তেমনি ব্যবহার বান্ধবও হয়। আকর্ষনীয় নেভিগেশন বার, বাটন, ব্যানার, ইত্যাদিতে ইমেজের ব্যবহার অপরিহার্য। ওয়েব পেজে ইমেজ বা ছবি যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাগটি হচ্ছে <img> । এর কোন শেষ ট্যাগ নেই। শুধুমাত্র <img> দিয়ে কোন কাজ হয় না, এর সাথে সবসময়ই src এট্রিবিউটটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন <img src=”pic.png”> , তাহলে pic.png ইমেজটি প্রদর্শিত হবে।
পূর্ব প্রস্তুতি
ডেক্সটপে একটা webpage নামে folder নিতে হবে এর মধ্যে pic.png নামে save করা একটা ছবি রাখতে হবে।
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" green" style="text-align:center">
<h3> This is an example of image.</h3>
<img src="pic.png">
</body>
</html>
টেবিল প্রকাশ
দিনে দিনে ইন্টারনেট আজ সবচেয়ে বড় তথ্য ভান্ডারে পরিণত হয়েছে। তথ্য উপাত্ত পরিসংখ্যান চিত্র ভিডিও ইত্যাদির সংমিশ্রণে একটা ওয়েবপেজে কোন বিষয়বস্তুকে যতটা আকর্ষণীয় এবং পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা যায়, অন্যান্য মিডিয়ায় তা সম্ভব হয় না। ওয়েব পেজে তথ্য উপাত্ত পরিসংখ্যান উপস্থাপন করার একটি অন্যতম পন্থা হচ্ছে টেবিল ব্যবহার করা। টেবিল তৈরির জন্য টেবিল ট্যাগ <table> ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head> <title> www.google.com</title>  </head>
<body bgcolor=" #00CC99" style="text-align:center">
<table border="1">
<tr> <th>SL</th> <th>Book</th> <th>Pen</th> <th>Box</th> </tr>
<tr>
<td>01</td> <td>100</td> <td>200</td> <td>400</td> </tr> <tr><td>02</td><td>300</td> <td>600</td> <td>300</td> </tr> <tr> <td>03</td> <td>500</td> <td>800</td> <td>200</td>
</tr>
</table>
</body>
</html>
প্রোগ্রাম আলোচনা
<table border="1"> এখানে border="1" এর মাধ্যমে টেবিলের জন্য সিঙ্গেল বর্ডার ব্যবহার করা হয়েছে , প্রয়োজন অনুসারে 1 এর স্থানে 2,3,4 ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
টেবিলের প্রতিটা সারি তৈরির জন্য <tr></tr> ব্যবহার করা হয়, এবং প্রতিটা সেল তৈরির জন্য <td></td>ব্যবহার করা হয়।
<th></th> এর মাধ্যমে টেবিল হেডার তৈরি করা হয়েছে।<th>Book</th> এর মধ্যের Book লেখাটি একটু মোটা দেখাবে।
টেবিলের মধ্যে কোন সেল খালি রাখার জন্য <td></td> এর মাঝে কিছু না লেখলেই হবে। শুধুমাত্র <td></td> ব্যবহার করতে হবে।
সাইটের নেভিগেশন বার তৈরির জন্য টেবিল ব্যবহার করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে প্রতিটা সেলের লেখার সাথে লিংক তৈরি করে দিলেই হবে যেমন <td><a href="www.google.com"> Google</a></td> অথবা <th><a href="www.google.com"> Google</a></th>
লিস্টের ব্যবহার
একটা ওয়েব পেজকে সুন্দর করে সাজানো এবং তথ্য উপস্থাপনার অন্যতম পদ্ধতি লিষ্ট । HTML এর মাধ্যমে দুই ধরণের লিষ্ট তৈরি করা যায়, একটি হচ্ছে অর্ডার লিষ্ট এবং অপরটি হচ্ছে আনঅর্ডার লিষ্ট । অর্ডার লিষ্টে বিভিন্ন তথ্যকে পর্যায়ক্রমিকভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করা হয় এবং প্রতিটা লাইনের শুরুতে ক্রমিক সংখ্যা থাকে। অন্যদিকে আন অর্ডার লিষ্টে প্রতিটা লাইনের সামনে ছোট বৃত্তাকার বা বর্গাকার চিহ্ন থাকে। HTML এর মাধ্যমে আন অর্ডার লিষ্ট তৈরি করার জন্য <ul></ul> এবং অর্ডার লিষ্ট তৈরি করার জন্য <ol></ol> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" #00CC99" style="text-align:center">
<h4>Disc Type list</h4>
<ul type="disc">
<li>Home</li>
<li>About Us</li>
<li>Contact Us</li>
</ul>
<h4>Circle Type list</h4>
<ul type="circle">
<li>HTML</li>
<li>CSS</li>
<li>PHP</li>
</ul><h4>Square Type list</h4>
<ul type="square">
<li>Pragaph</li>
<li>Table</li>
<li>List</li>
</ul>
</body>
</html>
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" #00CC99" style="text-align:center">

<h3>Alphabet Type list</h3>
<ol type="A">
<li>Home</li>
<li>About Us</li>
<li>Contact Us</li>
</ol>
<h3>Number Type list</h3>
<ol type="1">
<li>HTML</li>
<li>CSS</li>
<li>PHP</li>
</ol>
<h3>Roman Number Type list</h3>
<ol type="I">
<li>Pragaph</li>
<li>Table</li>
<li>List</li>
</ol>
</body>
</html>
HTML ফর্ম
এইচটিএমএল ফর্ম একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। বিশেষ করে ডাইনামিক এবং ডাটাবেজ নির্ভর ওয়েব সাইটের লগ ইন সিস্টেম, ভোটিং সিস্টেম, কন্টাক্ট ফর্ম সহ ইউজার ইনফরমেশন সংগ্রহ করার জন্য এইচটিএমএল ফর্ম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। একটি এইচটিএমএল ফর্ম বেশ কিছু উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। এগুলো হচ্ছে ,
১. টেক্সট বক্স  ২. টেক্সট এরিয়া  ৩. রেডিও বাটন  ৪. সাবমিট বাটন  ৫. চেক বক্স   ৬. ড্রপডাউন লিস্ট
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" #000">
<center>
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="6">
আপনার তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন।
</font>
< /br>
< /br>
<form name="information" method="post" action="information.php">
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
নাম:&nbsp; &nbsp; &nbsp; &nbsp; &nbsp; &nbsp;
</font>
<input type="text" value="আপনার নাম লিখুন" name="name"><br /><br />
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
পিতার নাম:
</font> &nbsp; &nbsp;
<input type="text" value="আপনার পিতার নাম লিখুন" name="name">
<br /><br />
<font face ="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
ঠিকানা:
</font> &nbsp; &nbsp; &nbsp; &nbsp; &nbsp; &nbsp;
<textarea rows="3" cols="20"></textarea>
<br />
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
আপনি কি পুরুষ:
</font>
<input type="radio" value="male" name="gender">
<br />
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
আপনি কি মহিলা:
</font>
<input type="radio" value="female" name="gender">
<br />
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
আপনি যে শহরে থাকেন:
</font>
<select name="district">
<option> কুস্টিয়া </option>
<option> ঢাকা</option>
<option>খুলনা</option>
<option>সিলেট</option>
<option>ভেড়ামারা</option>
<option>যশোর</option>
</select>
<br />
<br />
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
</font>
<br />
<input type="checkbox" value="checkbox1" name="checkbox">
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
এস.এস.সি
</font>
<br />
<input type="checkbox" value="checkbox" name="checkbox">
<font face="SolaimanLipi" color="#fe0321" size="4">
এইস.এস.সি
</font>
<br />
<br />
<input type="submit" name="submit" value="জমা করুন">
<br />
<br />
<input type="reset" value="মুছে ফেলুন" name="clear">
</form>
</center>
</body>
</html>
ফ্রেম এর ব্যবহার
HTML এর মাধ্যমে কোন ওয়েব পেজকে একাধিক ভাগে বিভক্ত করার জন্য আগের দিনে ফ্রেম ব্যবহার করা হত। দিনে দিনে ফ্রেমের ব্যবহার কমে এসেছে। বর্তমান সময়ে ফ্রেমের ব্যবহার নেই বললেই চলে, কারণ ফ্রেম ব্যবহার করে তৈরিকৃত সম্পূর্ণ পেজ একসাথে প্রিন্ট করা বেশ কষ্টকর। এছাড়া এটা অনেকের কাছেই অপছন্দের। এর পরিবর্তে কোন পেজকে একাধিক অংশে বিভক্ত করতে এখন CSS ব্যবহার করা হয়। তবে html সম্পর্কে জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য ফ্রেম সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা থাকা দরকার।
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" #000">
<frameset rows="12%,88%">
<frame src="style.html" scrolling="no">
<frameset cols="27%,74%">
<frame src="link.html">
<frame src="textfor.html" >
</frameset>
</frameset>
</body>
</html>
প্রোগ্রাম আলোচনা
<frameset rows="12%,88%"> এর মাধ্যমে প্রথমে সম্পূর্ণ পেজটারে সারি বরাবর দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে।
<frameset cols="27%,74%"> এর মাধ্যমে নিচের সারিকে কলাম বরাবর দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে।
<frame src="style.html" scrolling="no"> এর মাধ্যমে প্রথম ফ্রেমের মধ্যে style.html পেজটিকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
<frame src="link.html"> এবং <frame src="textfor.html" > এর মাধ্যমে যথাক্রমে ২য় সারির ১ম ও ২য় ফ্রেমের মধ্যে link.html এবং textfor.html পেজ দুটিকে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আই ফ্রেম এর ব্যবহার
একটা ওয়েব পেজের মধ্যেই অপর এক বা একাধিক ওয়েব পেজ প্রদর্শন করার অন্যতম উপায় হচ্ছে আই ফ্রেম। কোন বিষয় বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর বিভিন্ন ওয়েব পেজের লিংক প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি উক্ত পেজটিকে সংক্ষিপ্ত স্থানের মধ্যে স্ক্রলিং করে প্রদর্শন করতে পারলে মন্দ হয় না।
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor=" #f00">
<center>
<h2 style="color:#f00">This is an example of iframe.</h2><br />
<iframe src="http://www.google.com/" width="350" height="170">
<p>This rowser does not support iframes.</p>
</iframe>
</center>
</body>
</html>
লে আউট পদ্ধতি
একটা ওয়েব পেজ কতটা সুন্দর হবে তা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে পেজের লে আউটের উপর। আগে শুধুমাত্র HTML ব্যবহার করেই সকল ওয়েব সাইটের লে আউট তৈরি করা হত। বর্তমানে HTML এর সাথে CSS ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র HTML ব্যবহার করে লে আউট তৈরি করার জন্য <table> এর সারি ও কলাম ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body bgcolor="green">
<table width="400" border="0">
<tr>
<td colspan="3" style="background-color: #93C;">
<h1> Web Page header</h1>
</td>
</tr>
<tr valign="top">
<td style="background-color: #C99;width:100px;text-align:top;">
<p><b>Side bar</b><br />
<a href="#">PHP</a>
<br /> <a href="#">HTML</a> <br />
<a href="#">CSS</a>
<a href="#">Wordpress</a>
</p></td>
<td style="background-color:#EEEEEE;height:200px;width:400px;text-align:top;"><h2 style="color:#900">This is heading.</h2>
<p style="color: #006">This is a paragraph.This is a paragraph. This is a paragraph.<br />
This is a paragraph.This is a paragraph. This is a paragraph.<br />
This is a paragraph.This is a paragraph.This is a paragraph.</p></td>
</tr>
<tr>
<td colspan="2" style="background-color:#999;text-align:center;">
Copyright © 2012google.com</td>
</tr>
</table>
</body>
</html>
সি এস এস
বর্তমান সময়ে ওয়েব পেজের কাঠামো তৈরি করা হয় HTML দিয়ে, ডিজাইন তৈরি করা হয় CSS দিয়ে, আর টেক্সট জমা রাখা হয় ডাটাবেজে। তাই কোন পেজকে আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি ব্যবহার বান্ধব করে তোলার জন্য CSS এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। HTML দ্বারা তৈরি পেজে তিন পদ্ধতিতে CSS যুক্ত করা যায়।
১. এক্সটার্নাল স্টাইল সিট (External Style Sheet )
২. ইনটার্নাল স্টাইল সিট (Internal Style Sheet)
৩. ইনলাইন স্টাইল সিট (Inline Style Sheet)
এক্সটার্নাল স্টাইল সিট
এ পদ্ধতিতে HTML ফাইল এবং CSS স্টাইল সিট দুটি আলাদা সিটে রাখা হয়। এবং নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে HTML এর <head></head>ট্যাগের মধ্যে লিংক তৈরি করে দেয়া হয়।
<head>
<link rel="stylesheet" type="text/css" href="http://google.com/bangla/style.css">
</head>
ইনটার্নাল স্টাইল সিট
এ পদ্ধতিতে HTML এবং CSS স্টাইল একই সিটে <head></head> ট্যাগের মধ্যে রাখা হয়। এজন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে <style></style> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
<head>
<style type="text/css">
body {background-color: red;}
p { margin-left: 20px;font-weight: bold;color: #006; }
</style>
</head>
ইনলাইন স্টাইল সিট
এ পদ্ধতিতে HTML এর প্রতিটি ট্যাগের মধ্যেই CSS স্টাইল যুক্ত করা হয় । এজন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে style এট্রিবিউটস ব্যবহার করা হয়।
<p style="margin-left:120px; font-weight: bold; color: #060;">
উদাহরণ প্রোগ্রাম
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
<link rel="stylesheet" type="text/css" href="//bangla/style.css">
<style>
body{background:green; font-family:Verdana; font-size:15px;}
h3{font-size:25px; font-family:Tahoma; color:red;}
</style>
</head>
<body >
This is a paragraph. <br />
<h3> Bangladesh is a beautiful country. </h3>
<p style="color: #600">
This is a paragraph. This is a paragraph.<br />
This is a paragraph. This is a paragraph.<br />
</p>
</body>
</html>
হেড ইলিমেন্ট
হেড ট্যাগ বা <head> এবং হেড ইলিমেন্ট যেকোন HTML পেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ <head>….</head> এর মধ্যে অর্থাৎ হেড ইলিমেন্ট হিসেবে <title> <link> <meta> <style> <script> এ সকল গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ সমূহ রাখা হয়। এগুলোর মাধ্যমে ব্রাউজারে পেজ সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য প্রদর্শন করার পাশাপাশি সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন এর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজও সম্পন্ন হয়।
টাইটেল
ব্রাউজারের টাইটেল বারে পেজের টাইটেল প্রদর্শনের জন্য <title> </title> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়।
<title>আমাদের HTML টিউটোরিয়াল সমূহ</title>
উপরের কোড এর মাধ্যমে ব্রাউজারের টাইটেল বারে “আমাদের HTML টিউটোরিয়াল সমূহ” লেখাটি দেখা যাবে।
লিংক
CSS স্টাইল সিট এর সাথে লিংক করার জন্য <link> </link> ব্যবহার করা হয়।
<link rel="stylesheet" type="text/css" href="styles.css" />
মেটা ইলিমেন্ট
মেটা সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। বিষয়টি পববর্তী লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
স্টাইল
ইনটার্নাল স্টাইল সিট ব্যবহারের জন্য <style></style> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। যেমন
<head>
<style type="text/css">
body {background-color: red;}
p { margin-left: 20px;
font-weight: bold;
color: #006; }
</style>
</head>
স্ক্রিপ্ট
জাভাস্ক্রিপ্ট, জে কোয়েরী ইত্যাদি স্ক্রিপ্ট যুক্ত করার জন্য <script> </script> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। যেমন
<script type="text/javascript" src="jquery.js"></script>
<script type="text/javascript" src="sliding_effect.js"></script>
ওয়েবে অডিও ফাইল চালানোর পদ্ধতি
কোন বিষয়কে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে, টেক্সট এবং ছবির পাশাপাশি অডিও-ভিডিও ব্যবহার করলে বিষয়টি আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। ওয়েব মিডিয়ার মাধ্যমে এ কাজটি যতটা ভালোভাবে করা যায় আর অন্য কোনো মিডিয়ায় মাধ্যমে তা সম্ভব নয়। HTML দ্বারা তৈরি পেজে <embed> ট্যাগ ব্যবহার করে সহজেই অডিও ফাইল যুক্ত করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
অনুশীলন প্রজেক্ট
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body >
<p>
<center>
<embed src="audio.mp3" height="35" width="300"
controller="true" loop="false" autostart="false">
</embed>
<h3 style="color:#F00">Click play button and enjoy music.</h3>
</center>
</p>
</body>
</html>
ওয়েবে ফ্লাস ফাইল চালানোর পদ্ধতি
ফ্লাস এনিমেশন ওয়েব সাইটের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় উপাদান। আকর্ষণীয় নেভিগেশন বার, ব্যানার, বাটন ইত্যাদিতে ফ্লাসের এনিমেশন যুক্ত করে যেমন ওয়েব সাইটের ইন্টারফেসকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, পাশাপাশি সাইটটিও ব্যবহার বান্ধব হয়ে উঠে। HTMLদ্বারা তৈরি পেজে <embed> ট্যাগ ব্যবহার করে অডিও এবং ভিডিও এর মত সহজেই ফ্লাসে তৈরি এনিমেশন অর্থাৎ SWF ফাইল যুক্ত করা যায়।
অনুশীলন প্রজেক্ট
<html>
<head>
<title> www.google.com</title>
</head>
<body >
<center>
<embed src="flash.swf" width="250" height="240">
</embed>
</center>
</body>
</html>

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭

গণিতের বিভিন্ন সুত্রাবলি এবং খুঁটিনাটি

http://somoyerdabi.blogspot.com
http://somoyerdabi.blogspot.com
http://somoyerdabi.blogspot.com
http://somoyerdabi.blogspot.com


 আবিষ্কারক এবং  তাদের আবিষ্কার

১. সংখ্যাতত্ত্ব—- পিথাগোরাস
২. জ্যামিতি——ইউক্লিড
৩. ক্যালকুলাস —– নিউটন
৪. ম্যাট্রিক্স ——– কেইসে
৫. ত্রিকোণমিতি—— হিপ্পারচাস
৬. পাটিগণিত—— আর্যভট্র
৭. বীজগণিত ——- মুসা আল খারিজমী
৮. লগারিদম——জন নেপিয়ার
৯. সেটতত্ত্ব——–জর্জ ক্যান্টর
১০. আলগরিদম——-ব্রহ্মগুপ্ত
১১. শূন্যে আবিষ্কারক ——ব্রহ্মগুপ্ত ও আর্যভট্রবৃত্ত সম্পর্কিত তথ্য


বর্গের সূত্রাবলী


  1. (a+b)2 = (a-b)2 + 4ab
  2. (a+b)2=a2+2ab+b2
  3. (a-b)2=a2-2ab+b2
  4. (a-b)2 = (a+b)2 - 4ab
  5. a2 + b2 = 1/2{(a+b)2 + (a-b)2}
  6. (a+b+c)2 = a2+b2+c2 +2(ab+bc+ca)
  7. (a-b-c)2 = a2+b2+c2 -2(ab+bc+ca)
  8. a2+b2+c2 = (a+b+c)2 - 2(ab+bc+ca)


ঘন এর সুত্রাবলি 

1.(a+b)^3 = a3+3a2b+3ab2+b3
2.(a-b)3=a3-3a2b+3ab2-b3
3.a3+b3 =(a+b)3-3ab(a+b)
4.a3-b3= (a-b)3+3ab(a-b)
5.a3+b3=(a+b)(a2-ab+b2)
6.a3-b3=(a-b)(a2+ab+b2)

সুচকের সূত্রাবলী


  1. am .an= am+n
  2. am/an = am-n
  3. a-m = 1/am
  4. a0 = 1
  5. (a/b)m = am/bm

ধারা ও সংখ্যা সমান্তর ধারা



একটি সমান্তর ধারার প্রথম পদ a এবং সাধারণ অন্তর d হলে,

1. n-তম পদ = a + (n- 1).d
2.  n সংখ্যক পদের সমষ্টি s = n/2{2a + (n-1).d}

1 + 2 + 3 + ....... + n
 সুত্র :  n = n(n + 1)/2

12 + 22 + 32 + ....... + n2
সুত্র: s = n(n + 1)(2n + 1)/6

13+ 23 + 33 + ....... + n3
সুত্র: s = {n(n + 1)/2}2


Profit-Loss (লাভ-ক্ষতি)



১. লাভ = বিক্রয় মূল্য – ক্রয় মূল্য

২. ক্ষতি = ক্রয় মূল্য - বিক্রয় মূল্য

৩. লাভ বা ক্ষতি সব সময় ক্রয় মূল্যের উপর হিসেব করা হয়।

৪. ক্ষতি % = (ক্ষতি x ১০০) / ক্রয় মূল্য

৫. লাভ % = (লাভ x ১০০) / ক্রয় মূল্য

৬. লাভ এর ক্ষেত্রে ক্রয় মূল্য = (১০০/(১০০+ লাভ %)) x বিক্রয় মূল্য

৭. ক্ষতি এর ক্ষেত্রে ক্রয় মূল্য = (১০০/(১০০ – ক্ষতি %)) x বিক্রয় মূল্য



Interest Calculation (সুদকষা)



1. সুদাসলঃ সুদ + আসল
2. সরল সুদ = (আসল x সুদের হার x সময়) / ১০০
3. আসল = (১০০ x মোট সুদ) / (সুদের হার x সময়)
4. আসল = (১০০ x সুদাসল) / (সময় x হার + ১০০)
5. সুদের হার = (১০০ x মোট সুদ) / (আসল x সময়)
6. সময় = (১০০ x মোট সুদ) / (আসল x সুদের হার)
7. চক্রবৃদ্ধি সুদাসল = আসল (১ + সুদের হার/১০০)বছর



শতকরা (Percentage)



**** যদি A এর আয় B এর আয় অপেক্ষা r% বেশী হয়, তবে B এর আয় A এর আয় অপেক্ষা কম হবে
= (r x ১০০) / (১০০+r)%

**** যদি A এর আয় B এর আয় অপেক্ষা r% কম হয়, তবে B এর আয় A এর আয় অপেক্ষা বেশী হবে
 = (r x ১০০)/(১০০ - r)%

**** দুধের  দাম r% বেড়ে যাওয়ায় এক ব্যক্তি দুধের ব্যবহার এমনভাবে কমালেন যেন তার বাৎসরিক ব্যয় অপরিবর্তিত থাকে। তিনি দুধের ব্যবহার শতকরা কত ভাগ কমালেন?
= (r x ১০০) / (১০০ + r)

**** তেলের মূল্য r% কমে গেলে তেলের ব্যবহার শতকরা কি পরিমাণ বাড়ালে তেলের জন্য খরচের কোন পরিবর্তন হবে না?
= ( r x ১০০) / (১০০-r )%

কোন স্থানের জনসংখ্যা p হলে এবং বৃদ্ধির হার r% হলে
১. n বছর পর জনসংখ্যা হবে = p(১ + r/১০০)n
২.  n বছর আগে জনসংখ্যা ছিল = p/ (১ + r/১০০)n

কোন স্থানের জনসংখ্যা p হলে এবং হ্রাসের পরিমাণ r% হলে
১. n বছর পর জনসংখ্যা হবে = p(১- r/১০০)n



ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল



১.সাধারণ ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = ১/২ ভূমি উচ্চতা
২.সমকোণী ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = ১/২ সমকোণ সংলগ্ন বাহুদ্বয়ের গুণফল
৩.সমদ্বিবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = a/4√(4b2-a2) যেখানে, a= ভূমি; b= অপর বাহু
৪.সমবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = √(3/4)a2 যেখানে, a = যে কোন বাহুর দৈর্ঘ্য



চতুর্ভূজের ক্ষেত্রফল



১.আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য x প্রস্থ
২.বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = (বাহু)২
৩.সামন্তরিক ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = ভূমি x উচ্চতা
৪.আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা = ২ (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)
৫.বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা = 4 x এক বাহুর পরিমাণ
৬.বৃত্ত ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = πr2 [এখানে, r বৃত্তের ব্যাসার্ধ; π = ৩.১৪৩]
৭.গোলকের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল = 4 πr2
৮.গোলকের আয়তন = 4/3πr3
৯. বৃত্তের পরিধির সূত্র =2πr

※পরিধির যেকোন অংশকে বলা হয় =চাপ
※পরিধির যেকোন দুই বিন্দুর সংযোগ সরলরেখাকে বলা হয় =জ্যা( বৃত্তের ব্যাস হচ্ছে বৃত্তের বৃহত্তম জ্যা)
※ বৃত্তের কেন্দ্রগামী সকল জ্যা-ই? =ব্যাস
※ কেন্দ্র থেকে পরিধি পর্যন্ত দূরত্বকে বলা হয় =ব্যাসার্ধবৃত্ত সম্পর্কিত কিছু ধারণা
※একই সরলরেখায় অবস্থিত তিনটি বিন্দুর মধ্য দিয়ে কোন বৃত্ত আকা যায়না।
※দুটি নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে ৩টি বৃত্ত আকা যায়।
※একটি বৃত্তের যেকোন দুটি বিন্দুর সংযোজক রেখাকে জ্যা বলা হয়।
※বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে π বলে।
※বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কোন বিন্দুর দুরত্বকে ওই বৃত্তের ব্যাসার্ধ বলে।
※বৃত্তের সমান সমান জ্যা কেন্দ্র থেকে সমদূরবর্তী।
※বৃত্তের দুটি জ্যায়ের মধ্যে কেন্দ্রের নিকটতম জ্যাটি অপর জ্যা অপেক্ষা বড়।
※বৃত্তের ব্যাসই বৃত্তের বৃহত্তম জ্যা।
※বৃত্তের যে কোন জ্যা এর লম্বদ্বিখণ্ডক কেন্দ্রগামী।
※কোন বৃত্তের ৩টি সমান জ্যা একই বিন্দুতে ছেদ করলে ওই বিন্দুটি বৃত্তের কেন্দ্রে অবস্থিত হবে।
※অর্ধবৃত্তস্থ কোন এক সমকোণ।
* একক সেটের উপাদান সংখ্যা   =১টি
* সেটকে প্রকাশ করার কয়টি পদ্ধতি আছে  =২টি
একটি পঞ্চভুজের সমষ্টি? — ৬ সমকোণ
একটি সুষম ষড়ভুজের অন্ত:কোণগুলোর সমষ্টি — ৭২০ ডিগ্রি
বৃত্তের ব্যাস তিনগুন বৃদ্ধি পেলে ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পায় — ৯গুন
কোন ত্রিভুজের বাহুগুলোর লম্বদ্বিখন্ড যে বিন্দুতে ছেদ করে তাকে বলে — অন্ত:কেন্দ্র
স্পর্শবিন্দুগামী ব্যাসার্ধ এবং স্পর্শকের অন্তর্ভুক্ত কোণ –৯০ ডিগ্রী
তিন কোণ দেওয়া থাকলে যে সকল ত্রিভুজ আঁকা যায় তাদের বলে — সদৃশ ত্রিভুজ
ত্রিভুজের যে কোনো বাহুকে উভয়দিকে বর্ধিত করলে উৎপন্ন বহিঃস্থ কোণদ্বয়ের সমষ্টি –দুই সমকোণ অপেক্ষা  বড়
কোন ত্রিভুজের একটি বাহু উভয় দিকে বর্ধিত করায় উৎপন্ন বহিঃস্থ কোণগুলি সমান হলে , ত্রিভুজটি — সমদ্বিবাহু
২৫৩ ডিগ্রি কোণকে কী কোণ বলে ? — প্রবৃদ্ধ কোণ
একটি সরলরেখার সাথে আর একটি রেখাংশ মিলিত হয়ে যে দু,টি সন্নিহিত কোণ উৎপন্ন হয় তাদের সমষ্টি–১৮০ ডিগ্র
 দুটি সন্নিহিত কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ হলে একটিকে অপরটির কি বলে? =সম্পূরক কোণ
একটি সরলরেখার সাথে অপর একটি রেখাংশ মিলিত যে দুটি সন্নিহিত কোণ উৎপন্ন হয়, তাদের সমষ্টি হবে =দুই সমকোণ(১৮০°)
 <A ও <B পরস্পর সম্পূরক কোণ ৷ <A=115° হলে <B=কত?  =65°
দুটি পূরক কোণের সমষ্টি কত? =৯০°
সম্পূরক কোণের মান কত? =১৮০°গণিতের বেসিক কিছু প্রশ্ন –৫
১. কোন ত্রিভুজের তিনটি বাহুকে বর্ধিত করলে উৎপন্ন বহিঃস্থ কোণ তিনটির সমষ্টি — ৩৬০ ডিগ্রী
২.সমকোণী ত্রিভুজের সমকোণ সংলগ্ন বাহুদ্বয় যথাক্রমে ৩,৪ সেমি হলে, অতিভুজের মান কত? — ৫ সে.মি
৩.সামন্তরিকের বিপরীত কোণেরঅর্ন্তদ্বিখন্ডকদ্বয় –পরস্পর সমান্তরাল
৪. একটি বর্গক্ষেত্রের এক বাহু অপর একটি বর্গক্ষেত্রের পরিসীমার সমান হলে , বর্গক্ষেত্র দু.টির কর্ণের অনুপাত কত?
৫.রম্বসের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমকোণে সমদ্বিকন্ডিত করলে তাদের অন্তর্ভুক্ত কোণ — ৯০ ডিগ্রী

বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

পর্যায় সারণী

                   


পর্যায় সারণী 

সংঙ্গা:-  
মৌলসমূহ তাদের পারমাণবিক সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পর্যায়ক্রমিক ভাবে যে সারণী বা ছকে সাজানো হয় তাকে পর্যায় সারণী বলে।

মূলভিত্তি :- 
ইলেকট্রন বিন্যাস। যেহেতু পরমাণুতে প্রোটন এর সমানসংখ্যক ইলেকট্রন থাকে।

পর্যায় সারণীর বৈশিষ্ট্য ঃ-

  1. পর্যায় সারণীতে ৭টি পর্যায় এবং ১৮টি গ্রুপ বা খাড়া স্তম্ভ থাকে।
  2.  ৭টি পর্যায় উপর থেকে নিচে এবং ১৮টি গ্রপ বাম থেকে ডানে বিস্তৃত।
  3.  মুল পর্যায় নিচে ২ টি ছোট ছক প্রদর্শিত  রয়েছে যা ল্যান্থানাইড ও এক্টিনাইড নামে পরিচিত।
  4. পর্যায় ১ এ দুটি মৌল যা ১ ও ১৮, পর্যায় ২ ও ৩ এ ৮টি করে মৌল যা ১-২ এবং ১৩-১৮ প্রযত্ন বিস্তৃত।
  5.  পর্যায় ৪,৫,৬,৭ পর্যায়গুলোর প্রতিটি গ্রুপেই  মৌল দ্বারা পূর্ণ। পর্যায় ৪ ও ৫ এ ১৮টি  রয়েছে অর্থাৎ ১৮ টি গ্রুপে ১৮টি মৌল অবস্থিত। 
  6. পর্যায়  ৬ ও ৭ এ (১৮+১৪=৩২) মৌল অবস্থিত।শুধুমাত্র ৩ নং গ্রুপে ১৫ টি করে মৌল অবস্থিত। 



বিভিন্ন পর্যায় সুত্র :-


ত্রয়ী সুত্র: 
যে কোন দুটি মৌলের পারমাণবিক ভরের গড় তৃতীয় মৌলের পারমাণবিক ভরের সমান অথবা কাছাকাছি হলে মৌল তিনটিকে একত্রে ত্রয়ী বলে।

অষ্টক সুত্র :-
 যে কোন ৮ টি মৌলকে তাদের পারমাণবিক সংখ্যার ভিত্তিতে সাজালে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের মিল পাওয়া যায় তাকে অষ্টক সুত্র বলে।

 ম্যান্ডলিফের পর্যায় সুত্র:   
মৌলসমূহকে তাদের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ভর  অনুসারে সজালে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক  ধর্মাবলি পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।  

ম্যান্ডলিফের অাধুনিক পর্যায় সুত্র :- 
মৌলসমূহকে তাদের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে সাজালে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি পর্যায়ক্রমিকভাবে আবর্তিত হয়।

ধাতু ও অধাতু চেনার কৌশল :- 

ধাতু:- 

♣এরা ইলেকট্রন দান করে।
♣শেষে "য়াম" উচ্চারিত হয়।
♣শেষ কক্ষপথে ১,২ ও ৩ টি ইলেকট্রন থাকবে।
♣যৌগ গঠনের সময় সামনে বসে।
গ্রুপ 1 ক্ষারধাতু, গ্রুপ 2 মৃৎক্ষারধাতু,গ্রুপ 11 মুদ্রাধাতু।

♦♦অধাতু:-

♣এরা ইলেকট্রন গ্রহণ করে।
♣এদের শেষ কক্ষপথে 5,6,7 টি ইলেকট্রন থাকে।
♣যৌগ গঠনের সময় এরা পিছনে বসে।
♣নিজেদের মধ্যে সমযোজী যৌগ গঠন করে। 

 মৌলসমূহের ভৌত অবস্থা ঃ-

তরল:-(২টি)     

  Br, Hg

গ্যাসীয় :-(১১টি) H,N,O,F,CI,He,Ne,Ar,Kr,Xe,Rn


অজানা:-(১৫টি) 

 Rf থেকে Uuo প্রযত্ন 

কঠিন :- এছাড়া বাকী সবগুলো মৌলই 

  মৌলের অবস্থান নির্ণয় :-

অাফবাউ নীতি ব্যবহার করে খুব সহজে মৌলের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
 Orbital গুলোর মাধ্যমে গ্রুপ বা স্তম্ভ এবং দশমিক বা সাধারণ সংখ্যা  দ্বারা পর্যায় বা সারি
নির্ণয় করা হয়ে থাকে। Orbital গুলো হচ্ছে  s,p,d,f    এবং দশমিক সংখ্যাগুলো 1, 2,3,4,5,6,7
 এগুলোর মধ্যে যে সংখ্যাটি বড় সেটি হবে তার পর্যায়। উদাহরণসরুপ 1s 2s 2p 3s 3p 4s ।
এখানে সংখ্যাগুলোর মধ্যে    4 বড় তাই এর পর্যায় হবে   4।