বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

পর্যায় সারণী

                   


পর্যায় সারণী 

সংঙ্গা:-  
মৌলসমূহ তাদের পারমাণবিক সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পর্যায়ক্রমিক ভাবে যে সারণী বা ছকে সাজানো হয় তাকে পর্যায় সারণী বলে।

মূলভিত্তি :- 
ইলেকট্রন বিন্যাস। যেহেতু পরমাণুতে প্রোটন এর সমানসংখ্যক ইলেকট্রন থাকে।

পর্যায় সারণীর বৈশিষ্ট্য ঃ-

  1. পর্যায় সারণীতে ৭টি পর্যায় এবং ১৮টি গ্রুপ বা খাড়া স্তম্ভ থাকে।
  2.  ৭টি পর্যায় উপর থেকে নিচে এবং ১৮টি গ্রপ বাম থেকে ডানে বিস্তৃত।
  3.  মুল পর্যায় নিচে ২ টি ছোট ছক প্রদর্শিত  রয়েছে যা ল্যান্থানাইড ও এক্টিনাইড নামে পরিচিত।
  4. পর্যায় ১ এ দুটি মৌল যা ১ ও ১৮, পর্যায় ২ ও ৩ এ ৮টি করে মৌল যা ১-২ এবং ১৩-১৮ প্রযত্ন বিস্তৃত।
  5.  পর্যায় ৪,৫,৬,৭ পর্যায়গুলোর প্রতিটি গ্রুপেই  মৌল দ্বারা পূর্ণ। পর্যায় ৪ ও ৫ এ ১৮টি  রয়েছে অর্থাৎ ১৮ টি গ্রুপে ১৮টি মৌল অবস্থিত। 
  6. পর্যায়  ৬ ও ৭ এ (১৮+১৪=৩২) মৌল অবস্থিত।শুধুমাত্র ৩ নং গ্রুপে ১৫ টি করে মৌল অবস্থিত। 



বিভিন্ন পর্যায় সুত্র :-


ত্রয়ী সুত্র: 
যে কোন দুটি মৌলের পারমাণবিক ভরের গড় তৃতীয় মৌলের পারমাণবিক ভরের সমান অথবা কাছাকাছি হলে মৌল তিনটিকে একত্রে ত্রয়ী বলে।

অষ্টক সুত্র :-
 যে কোন ৮ টি মৌলকে তাদের পারমাণবিক সংখ্যার ভিত্তিতে সাজালে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের মিল পাওয়া যায় তাকে অষ্টক সুত্র বলে।

 ম্যান্ডলিফের পর্যায় সুত্র:   
মৌলসমূহকে তাদের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ভর  অনুসারে সজালে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক  ধর্মাবলি পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।  

ম্যান্ডলিফের অাধুনিক পর্যায় সুত্র :- 
মৌলসমূহকে তাদের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে সাজালে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি পর্যায়ক্রমিকভাবে আবর্তিত হয়।

ধাতু ও অধাতু চেনার কৌশল :- 

ধাতু:- 

♣এরা ইলেকট্রন দান করে।
♣শেষে "য়াম" উচ্চারিত হয়।
♣শেষ কক্ষপথে ১,২ ও ৩ টি ইলেকট্রন থাকবে।
♣যৌগ গঠনের সময় সামনে বসে।
গ্রুপ 1 ক্ষারধাতু, গ্রুপ 2 মৃৎক্ষারধাতু,গ্রুপ 11 মুদ্রাধাতু।

♦♦অধাতু:-

♣এরা ইলেকট্রন গ্রহণ করে।
♣এদের শেষ কক্ষপথে 5,6,7 টি ইলেকট্রন থাকে।
♣যৌগ গঠনের সময় এরা পিছনে বসে।
♣নিজেদের মধ্যে সমযোজী যৌগ গঠন করে। 

 মৌলসমূহের ভৌত অবস্থা ঃ-

তরল:-(২টি)     

  Br, Hg

গ্যাসীয় :-(১১টি) H,N,O,F,CI,He,Ne,Ar,Kr,Xe,Rn


অজানা:-(১৫টি) 

 Rf থেকে Uuo প্রযত্ন 

কঠিন :- এছাড়া বাকী সবগুলো মৌলই 

  মৌলের অবস্থান নির্ণয় :-

অাফবাউ নীতি ব্যবহার করে খুব সহজে মৌলের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
 Orbital গুলোর মাধ্যমে গ্রুপ বা স্তম্ভ এবং দশমিক বা সাধারণ সংখ্যা  দ্বারা পর্যায় বা সারি
নির্ণয় করা হয়ে থাকে। Orbital গুলো হচ্ছে  s,p,d,f    এবং দশমিক সংখ্যাগুলো 1, 2,3,4,5,6,7
 এগুলোর মধ্যে যে সংখ্যাটি বড় সেটি হবে তার পর্যায়। উদাহরণসরুপ 1s 2s 2p 3s 3p 4s ।
এখানে সংখ্যাগুলোর মধ্যে    4 বড় তাই এর পর্যায় হবে   4। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন